Thread Rating:
  • 0 Vote(s) - 0 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
প্রতিবন্ধী কত প্রকার: সাধারণ ধারণা ও শ্রেণিবিন্যাস
#1
সমাজে বিভিন্ন ধরনের মানুষের উপস্থিতি আমাদের বৈচিত্র্য দেখায়। তবে শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতা থাকা ব্যক্তিদের বিশেষ সহায়তার প্রয়োজন হয়। এই প্রসঙ্গে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে – প্রতিবন্ধী কত প্রকার এবং তাদের জন্য সমাজে কী কী সহায়তার ব্যবস্থা আছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মূলত শারীরিক, মানসিক বা সামাজিক সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের শ্রেণিতে ভাগ করা হয়।

প্রথমত, শারীরিক প্রতিবন্ধিতা। এটি সেই ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য যারা দেহের কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সমস্যা বা অক্ষমতার কারণে দৈনন্দিন কাজ করতে পারেন না বা সীমিতভাবে করতে পারেন। যেমন- চলাফেরার অক্ষমতা, হাত-পা ঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারা বা অন্য শারীরিক সমস্যার কারণে সীমিত কর্মক্ষমতা।

দ্বিতীয়ত, মানসিক বা বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা। এই ধরনের প্রতিবন্ধিতা ব্যক্তির শেখার ক্ষমতা, স্মরণশক্তি বা সাধারণ বুদ্ধিমত্তায় প্রভাব ফেলে। ফলে তারা স্বাভাবিক শিক্ষার ধারা অনুসরণ করতে কিছুটা অসুবিধা বোধ করে। সঠিক শিক্ষা ও সহায়তার মাধ্যমে তাদের উন্নয়ন সম্ভব।

তৃতীয়ত, দৃষ্টি ও শ্রবণ প্রতিবন্ধিতা। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য চশমা, স্পেশাল ল্যাঙ্গুয়েজ বা অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সহায়তা করা যায়। একইভাবে শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য হিয়ারিং এড বা লিপ-রিডিং সহায়ক হতে পারে।

চতুর্থত, সামাজিক ও ভাষাগত প্রতিবন্ধিতা। এটি ব্যক্তির সামাজিক দক্ষতা, ভাষা বোঝা বা প্রকাশের ক্ষমতা সীমিত হলে দেখা দেয়। এমন ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ শিক্ষাগত ব্যবস্থা এবং সামাজিক সহায়তা জরুরি।

প্রতিবন্ধিতা যে কোনো বয়সের মানুষের মধ্যে দেখা দিতে পারে। সমাজ ও পরিবারের সমর্থন, বিশেষ শিক্ষা এবং চিকিৎসা সাহায্য তাদের জীবনকে স্বাভাবিক ও সফল করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিবন্ধী কত প্রকার তা বোঝা এবং সঠিক সহায়তার ব্যবস্থা করা সমাজের একটি দায়িত্ব।
Reply


Forum Jump:


Users browsing this thread: 1 Guest(s)